চৌধুরী গোল্ড এর গয়না
বললেই প্রথমে আমরা ভাবি নেকলেস, দুল, নূপুর, আংটি ইত্যাদি। তবে বডি জুয়েলারি বলতে এগুলোর বাইরেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নানা ধরনের গয়নাকে বোঝায়। যেমন টো রিং বা পায়ের আংটি, টাং জুয়েলারি বা জিবের গয়না (জিবে পিয়ারসিং করে পরানো হয়), বেলি রিং (পিয়ারসিং করে নাভিতে পরা হয়), বডি চেইন ইত্যাদি। বডি জুয়েলারি নারী-পুরুষ উভয়ই পরতে পারেন। এসব গয়নাকে জেন্ডার-নিউট্রালও বলা যেতে পারে। আর এ ধরনের জুয়েলারি পোশাকে যোগ করে অন্যতর মাত্রা।
৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে আজমেরী হক বাঁধনের লুক নিশ্চয়ই এখনো মনে গেঁথে আছে সবার? প্রথম দেখায় অনেকেই দ্বিধায় ছিলেন তাঁর অ্যাটয়ার নিয়ে। শাড়ির সঙ্গে কী পরেছেন, ব্লাউজ নাকি জুয়েলারি? পিঠের সেই রুপালি অংশটুকুকে সবাই ব্লাউজ বলে মনে করলেও, আসলে তা ছিল একটি বডি চেইন। সেটি চোকারের অংশবিশেষ হিসেবে তাঁর ব্যাকলেস ব্লাউজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জামদানি শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে রুপার সেই বডি জুয়েলারি পুরো উৎসবে সবার নজর কেড়েছিল।
শরীরের বিভিন্ন ধরনের গয়না (Various Types of Body Jewellery)
চৌধুরী গোল্ড নানা সোনার গহনার মধ্যে বডি জুয়েলারিও ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত করে। অন্যান্য গহনার পাশাপাশি বডি গহনার চাহিদা আছে। সব মানুষের চাহিদা এক না থাকার কারণে body jewelry দিকটা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ধরনের বডি জুয়েলারি দেখি-
কানের গয়না (Ear Jewellery)
Ear Jewellery বা কানের গয়না হিসেবে দুল সবচেয়ে বেশি পরিচিত হলেও, বর্তমান প্রজন্ম কানের বিভিন্ন অংশে পিয়ারসিং করে নতুন আঙ্গিকে ব্যবহার করছে দুল। তাই চিরাচরিত দুলের বাইরে ইয়ার কাফ, ইয়ার স্টাড, হুপ রিং, ড্রপ রিং ইত্যাদি ব্যবহারের চাহিদা বাড়ছে। মূলত কানের বিভিন্ন অংশ, যেমন হেলিক্স পিয়ারসিং, অ্যান্টি হেলিক্স, ট্রাগেস পিয়ারসিং, অরবিটাল পিয়ারসিং ইত্যাদি অংশে ব্যবহারের জন্য নানা ধরনের দুলের চাহিদা বেড়েছে। বস্তুত এই ট্রেন্ড যে খুব নতুন, তা নয়। বরং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এ ধরনের গয়না ব্যবহারের চল অনেক পুরোনো। সেটাই এখন ট্রেন্ড হিসেবে সামনে এসেছে।
নাকের গয়না (Nose Jewellery)
নোজ জুয়েলারি বা নাকের গয়না হিসেবে নোলক কিংবা নাকফুল সবার কাছেই পরিচিত। ইদানীং এর বাইরে ট্রেন্ডে যোগ হয়েছে আরও কিছু বডি জুয়েলারি। নোজ স্ক্রু, স্টাড, বোন, স্পাইক ইত্যাদি নানা নাম এবং ধরনের গয়নার চাহিদা বেড়েছে তরুণ প্রজন্মের কাছে।
টাং জুয়েলারি (Tongue Jewellery)
মূলত জিবে পিয়ারসিং করে নানা ধরনের টপ বা রিং পরা হয়। প্রাচীন মায়া সভ্যতার অধিবাসীরা এ ধরনের গয়না ব্যবহার করত, যা বিংশ শতাব্দীতে এসে আবার জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফ্ল্যাট টাং স্টাড বারবেল, বায়ো ফ্লেক্স বারবেল, টাং টিকলারস ইত্যাদি টাং জুয়েলারি বেশি ব্যবহৃত। টাং জুয়েলারি মূলত তিন ধরনের: ভেনম বাইট, সুইট বাইট ও স্নেক আই। এ ধরন নির্ভর করে জিবের কোন অংশে গয়না পরানো হচ্ছে, তার ওপর।
বডি চেইন (Body Chain)
ট্রেন্ডি বডি জুয়েলারির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে বডি চেইন। এটি মূলত বড় সাইজের মালার সঙ্গে অনেকগুলো চেইনের সংযোগ। এগুলো ওয়েস্টার্ন কিংবা দেশীয় যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানানসই।
বেলি জুয়েলারি (Belly Chain)
বেলি জুয়েলারির প্রতি এখন জেন জিদের বেশ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। ন্যাভাল পিয়ারসিংয়ের চাহিদা বাড়ার কারণে ন্যাভাল রিংয়ের সঙ্গে ন্যাভাল চেইনের ব্যবহারও বাড়ছে। এ ছাড়া বিছা বা কোমরবন্ধ তো আছেই।
টো রিং (Toe Ring)
পায়ের আঙুলে আংটি পরার প্রচলন আবার ফেরত আসায়, টো রিংয়ের কদর বেড়ে যায় হঠাৎ করেই। দেশীয় জুয়েলারি ব্র্যান্ডগুলোতে এখন অনেক ডিজাইনের টো রিং পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া পায়ে নূপুরের ব্যবহার আগে থেকেই ছিল।
আমাদের দেশে বডি জুয়েলারির ট্রেন্ড নতুন হলেও, বহির্বিশ্বে এর কদর বেশ ভাল। আমেরিকান গায়িকা বিয়ন্সে, মাইলি সাইরাস, আমেরিকান মডেল গিগি হাদিদকে প্রায়ই বডি জুয়েলারি হিসেবে বডি চেইন পরতে দেখা যায়। বাইরের দেশগুলোতে বডি জুয়েলারি বিকিনি কিংবা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে পরা হলেও, আমাদের দেশীয় পোশাকেও এসব জুয়েলারি মানিয়ে যায় বেশ এবং যেটা দেখতে লাগে
ভাল।
ফেছবুক ও ম্যাসেন্জারের যুগে আমাদের চৌধুরী গোল্ড ফ্যাশনের পশ্চিমা ধারণাকে দেশীয় আদলে উপস্থাপন করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তারা পোশাকের সঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিকে বডি জুয়েলারি পরছে। তারা অত্যন্ত ফ্যাশন–সচেতন বলেই নতুন ট্রেন্ড আয়ত্ত করতে তাদের সময় লাগে না। বরং চট করেই ফ্যাশনে যোগ করে ফেলে নতুন নতুন এলিমেন্টস। আর তারা সেটা ক্যারিও করতে পারে নির্দ্বিধায়। ফলে চৌধুরী গোল্ড হাত ধরেই আমরা নতুন করে পরিচিত হচ্ছি নানা ধরনের বডি জুয়েলারির সঙ্গে।
Excellent
ReplyDeletesupper
ReplyDeletewow nice
ReplyDelete