সোনা (Gold)
সোনা একটি ধাতব হলুদ বর্ণের ধাতু। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই ধাতুর সাথে পরিচিত ছিল। অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য, চকচকে বর্ণ, বিনিময়ের সহজ মাধ্যম, কাঠামোর স্থায়ীত্বের কারণে এটি অতি মূল্যবান ধাতু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে সেই সোনা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার তৈরির প্রথা এখও সমান ভাবে প্রবাহিত হচ্ছে।
নামকরণঃ
সোনার রাসায়নিক নাম Aurum যা উৎপত্তি লাভ করেছে লাতিন শব্দ Aurora থেকে।
সোনার বর্তমান অবস্থাঃ
বর্তমান দেশে ও দেশের বাহিরে সোনা পরিবেশ বলতে গেলে অনেকটা স্বংক্রিয় ভাবে মানুষের দারে চলে এসেছে। বানিজ্যিক দিক হতে বিচার করলে বিভিন্ন সোনার ব্যবসায়িগন তাদের গ্রাহকদের চাহিদা পূরন করতে পারছে। এটা বাদে আধুনিক যুগে বিভিন্ন অন লাইনের ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয় অগ্রগতি বেশ বেড়েছে। যার মধ্যে চৌধুরী গোল্ড অন-লাইনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে।
অন-লাইন বানিজ্যঃ
অন-লাইনে বর্তমান বানিজ্য ভরপুর যেখানে একটি ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে সোনার বিভিন্ন গহনা ক্রয়-বিক্রয় সহজ ভাবে পেতে পারেন। সাধারণ ওয়েব সাইট গুলি-উদাহরণ হিসাবে https://chowdhurygold.com/ লিংটি দেওয়া হল, যাহা সব প্রতিষ্ঠানের হয়ে থাকে। ঘরে বসেই সব ধরণে গহনা Order করতে পারবেন ও বিভিন্ন ডিজাইনের পন্য দেখতে পারবেন।
আবিস্কারের ইতিহাসঃ
মনে করা হয়, সোনা মানুষের আবিষ্কৃত অন্যতম মৌল। এটি নব প্রস্তর যুগেি এই সোনার তৈরি দ্রব্যাদি ব্যবহৃত ও
বানিজ্য হতো। সেই যুগের খননকৃত অনেক নিদর্শনে পাথরের জিনিসের সাথে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সমাজতত্ত্ববিদ কার্ল মার্ক্সও সকল সোনাকে মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ধাতু হিসেবে চিহ্নিত করেছে।, সহজ বণ্টনযোগ্যতা ও দেখতে
চকচকে প্রকৃতির জন্য এটি আগে থেকেই অর্থের প্রধান মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত করেছে। সোনার সাথে পৃথিবীর অনেক কাহিনী জড়িত আছে। সোনা অধিকারের লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতিতে যুদ্ধ হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে অনেক
মানুষ। সোনার মালিক হয়েছে অনেকে কিন্তু কেউ শান্তি পায়নি। কারণ পাওয়ার পরই সোনা হারানোর ভয়
অনেক বেশি। যখন থেকে মানুষ একত্রিত ভাবে বসবাস এবং সামাজিক শ্রেণীবিভাগের সূচনা করলো তখন থেকেই খনি থেকে সোনা উত্তোলন কাজ হল। সেই থেকেই গহনা তৈরীতে সোনা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আর সোনা বিশুদ্ধিকরণের ধারনাগুলি মানুষ জানতো না। এ কারণে তখন নানা
ভাবে সোনা-রুপার সঙ্কর ধাতু তৈরি করা হতো যা অ্যাজেম নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া সোনা-রুপার অন্য প্রাকৃতিক সঙ্কর ধাতু ছিল যার নাম ইলেকট্রুম।
প্রাচীনকালের সকল জাতিতেই স্বর্ণের ব্যবহার ছিল। মিশরীয় সম্রাটদের
দ্বারা নির্মিত পিরামিডগুলো খনন করে প্রচুর সোনার অলঙ্কার ও জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে.
অনেককাল ধরেই মিশরীয়রা সোনা নিয়ে গবেষণা করেছে। তাদের বিশ্বাস মতে, পরশ পাথরের মাধ্যমে
ক্ষার ধাতুকে সোনায় ও তামার
খনিতে অনেকদিন লোহা পড়ে থাকলে তার উপর তামার আস্তরণ পড়তো। কিমিয়াবিদরা মনে করেছিল
লোহা তামায় রুপান্তিত হয়েছে। এ থেকে তারা এ ধারণাও করেছিল যে অন্য ধাতুকেও এভাবে
সোনায় পরিমান থাকে। তারা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে এই কাজে
সর্বোচ্চ উন্নতি করতে পেরেছিল মিশরীয়রা। তারা সোনা নিষ্কাষণের গুপ্তবিদ্যা জানতো।
মিশরীয় ঐতিহ্যের সাথে সোনার সম্পর্ক সুগভীর।
এছাড়া চীন, ভারত এবং মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত রাজ্যগুলোতে খ্রিস্টপূর্ব
দশম শতাব্দীতেও সোনা ব্যবহৃত হতো। স্বাভাবিকভাবে প্রাপ্ত লেড লালফাইডের সাথে রুপা মিশ্রিত
অবস্থায় পাওয়া যায় যাকে কখনও কখনও নিষ্কাশন করা হয়. তারা বুঝতে পেরেছিলেন সীসার
উপর রুপা সৃষ্টি হয় না। এই ধারণা কিমিয়াবিদদের মধ্যে বিকাশ লাভ করে। কিমিয়াবিদদের
অনেকেই অন্য ধাতু থেকে সোনা তৈরির জন্য পরশ পাথরের সন্ধান করেছিল, অনেকে জীবন পর্যন্ত
উৎসর্গ করেছিল. কিন্তু এর মধ্যে কোন সত্যতা ছিল না। পরশ পাথর নামে কিছুর অস্তিত্ব বিজ্ঞান
স্বীকার করেনি।
দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা বিজয়ের জন্য স্পেনীয়রা অভিযান
পরিচালনা করে। সেখানে ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের পর প্রাচীন ইনকাতে সোনার
প্রাচুর্য দেখে কিমিয়াবিদরা অভিভূত হয়েছিল. ইনকাদের কাছে সোনা ছিল গুপ্ত ধাতু তথা
সূর্য দেবতার ধাতু। তাদের মন্দিরগুলোতে বিপুল পরিমাণ সোনা রক্ষিত থাকতো। মহান নেতা
আটাহুয়ালপাকে যখন স্পেনীয়রা বন্দী করে তখন ইনকারা তার মুক্তিপণ হিসেবে 60 ঘনমিটার
সোনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি যর এতেও স্পেনীয় সেনানায়ক ফ্রান্সিস্কো পিজারো তাকে মুক্তি
দেয়নি, বরং পণের অপেক্ষা না করেই তাকে হত্যা করে. ইনকারা যখন এই হত্যার সংবাদ জানতে
পারে তসেই বিপুল পরিমাণ সোনার দৃশ্যমান বর্ণালী
১৬০০ সালে থেকে
রাশিয়া খনি থেকে সোনা উত্তোলন শুরু করেছিল। তবে সোনার পরিমাণ ছিল খুব অল্প। পরবর্তীতে ১৯০০
সালের পর থেকে খনি থেকে সোনা উত্তোলনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।
স্বর্গীয় উৎস তত্ত্বঃ
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে মহাকাশে অনবরত বৃষ্টির মতো সোরঝা কহে। সোবীর সব সোনাও এ ধরনের প্রাচীন মহাজাগতিক সপোনাবৃষ্দেটাযসোনাবৃষ্টাদেটি। দুটি নিউট্রন তারার সংঘর্ষ বা কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গে নিউট্রন তারার একত্রীকরণে যে বিস্ফোরণ হয়, তাকে বলে কিলানোভা. এই কিলানোভার মাধ্যমে মহাকাশে অনবরত সোনা ও প্লাটিনামের মতো ভারী ধাতু সৃষ্টি হচ্ছে বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যায়. ধব ধাতু বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে মহাকাশে। পৃথিবীতে যত সোনা ও প্লাটিনাম রয়েছে, তা প্রাচীন একটি খনিজদ্রব্য
শেষকথাঃ
সর্বশেষ কথা হিসাবে বলতে পারি মানুষ জাতির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সোনা গহনার চাহিদা সব সময় থাকবে এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাঠামোর সাথে এটা এক সুতায় গাথা। ফলে বর্তমান সোনার মান ভালো থাকার ফলে মানুষের চাহিদাও উন্নয়ন হয়েছে।
অনেক ভালো বিষয় জানতে পারলাম, ধন্যবাদ।
ReplyDeleteNice....
ReplyDeleteThanks for sharing the information with us, it was very informative
ReplyDeleteReally Nice
ReplyDelete